সঠিক শিক্ষা পায়নি যে - নরপশু সে তো বর্বর!
হিংস্র লোলুপ শ্বাপদের মত ছিঁড়ে খায় নারী কলেবর।
গল্পে যদি বা রাবণ মরে, দুযোধন হারে যুদ্ধে!
সমাজে তাদের পোয়াবারো, তারা সব আইনের ঊর্ধে।
প্রশাসন চলে শ্লথের গতিতে, পুলিশ পাকায় ঘোঁট,
উকিল খোঁজে আইনের ফাঁক, পকেটে ভরতে নোট।
শাস্তি কতটা হবে - তা নিয়ে চিন্তা কিংবা ভয়?
সমাজে দোষী'র প্রভাব কতটা - তাই করে নির্ণয়।
নির্যাতিতারই সাজা শুরু হয়, ট্যারা বাঁকা কত কথা!
পুরুষের দোষ লঘু করে দ্যাখে সমাজের যত মাথা।
সমাজ কখনও দেয়নি নারীকে যথাযথ সম্মান!
ঘটে যায় তাই পাঞ্চালী আর সীতার আখ্যান।
কোন অধিকারে নিরূপণ করে পুরুষ শাসিত সমাজ,
নারীর আচার, পোশাক, শোভা, চলন, স্বভাব, কাজ?
কী'কাজ করবে, কখন ফিরবে, কেইবা বন্ধু হবে!
পুরুষ নারীর ভিন্ন ভিন্ন মাপকাঠি কেন রবে?
কখনও যদি নির্যাতনের বলি হয় আত্মজা,
পরিজন চায় অত্যাচারীর ভীষণ কঠোর সাজা।
তারাই আবার বেসুরো গায় পুত্ৰ অসুর হলে;
ভদ্র, নম্র, হীরের টুকরো, ফেঁসেছে কপট ছলে।
নিগূঢ় আঁধারে ডুবছে সমাজ, কিভাবে উত্তরণ?
ভাবনা চিন্তা সচেতন কর, মার্জিত কর মন।
নারী-সম্মান লুন্ঠিত হলে প্রতিবাদ কর জোরে।
যেই হোক দোষী বাঁধা পড়ে যেন যথাযথ সাজাডোরে
ঠিক ঠিক ভাবে দাও হে শিক্ষা নিজের সন্তানেরে
পুরুষ নারীতে তফাৎ যে নাই, সম্মানে, অধিকারে।
কখনই যেন ভুলেও না ভাবে নারীরা ভোগ্যপণ্য,
দেখতে পেয়েছে পৃথিবীর আলো এক রমণীর জন্য!
No comments:
Post a Comment