Saturday, December 09, 2006

ইন্দ্রানী

অবশেষে পেলাম খুজে আমার মনের রানী,
নাইবা থাকে ইন্দ্রলোকে সে আমার ইন্দ্রানী.
দিনের কাজে রাতের ঘুমে তাহার যাওয়া আসা
তার টানেতেই হল আমার প্রেম সাগরে ভাসা.
স্বপন তরী ভিড়িয়ে ঘাটে শুধাই আমি তারে
বন্ধু আমি এসে গেছি খুজছো তুমি যারে.
শুনে খানিক হাসলো সেযে টোল ধরিয়ে গালে
বললো আমি পারি যেতে যদি প্রমাণ মেলে.
কতজনেই ডাকে আমায় নাও ভিড়িয়ে ঘাটে
চাইনা আমি হারিয়ে যেতে প্রেমের চোরা হাটে.
সহজ মোটেই নয়কো এপথ আছে প্রচুর ব্যাথা
ফেরাও তোমার নৌকা এবার শোনো আমার কথা.
আমার পথ চেয়ে আছে জ্ঞানী গুনী কত
কেন যাব সাথে তোমার কি'বা আছে অত.
প্রশ্ন কঠিন পাইনা ভেবে কি বলি যে তারে
জ্ঞানের গুনের হিসেব আমার শুন্য একেবারে.
দুঃখ আছে সুখ আছে আছে কান্না ও হাসি
মন্দ আছে ভালো আছে সদাই পাশাপাশি.
সুখের মাঝে রইব মোরা ভাগ করে নেবো ব্যাথা
হৃদয় দিয়ে বাসব ভালো দিলাম তোমায় কথা.

Monday, October 16, 2006

My Trip to America (আমার আমেরিকা যাত্রা)

অবশেষে এসে পড়্ল সেই দিন. বিলুদা-র দেশ-টাকে দেখার একটা ইচ্ছা অনেকদিন ধরেই আমার মনের মধ্যে ঢুলছিলো. আমি নতুন সংস্থায় চাকুরি পাওযার পর তার সেই তন্দ্রা কেটে গেল. হাত পা বেশ টানটান করে ছড়িয়ে আড়মোড়া ভাংলো কয়েকবার.
ওমা বিলুদাকে অচেনা লাগছে নাকি? এইমুহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির নাম হল বিল গেটস. আমরা যারা তাকে চিনি (না কখনও চোখে দেখিনি, তার কার্যকলাপ থেকেই তাকে জানি এই যা) সংক্ষেপে বিলুদা বলি.
তারপর মাঝে মাঝেই খালি তাগাদা দিতে থাকতো "এবার ঘুরে এলে হয় না? আর দেরি কিসের তরে?" কি করে বোঝাই তাকে যে কর্মস্থলে আমার ইচ্ছেমত সবকিছু হয় না. সাধ আর সাধ্য দুটো মিললেই না তা হবে. শুনে যেন খানিক হতাশ হত সে. তবে পুরোপুরি দমত না. আবার দ্বিগুন উত্সহে লেগে পড়ত.
এর আগে যে সংস্থাগুলোয় কাজ করতাম তাদের পক্ষে বেশ কঠিন ছিল আমার এই সাধ পুরণের. কর্মস্থল বদলাতে বদলাতে যখন হাপিয়ে উঠেছি তখনি এলাম এখানে. আসার প্রায় চার পাচ মাস পর থেকেই আমাকে বলা হচ্ছিলো এবার নিউ জার্সি যেতে হবে অফিসের কাজে.থাকতেও হবে বেশ কয়েক মাস. আমিও রাজি. এখনও জীবিত (শুনেছি মরদ দুই ধরনের হয়ঃ বিবাহিত আর জীবিত) আছি. তাই কোনো বাধা নেই. পাসপোর্ট তো সেই কবে থেকেই বানিয়ে রেখেছি, যদি কখনো বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেড়ে এই ভেবে. কিন্তু সমস্যা হল ভিসা নিয়ে.


আলটিমেটলি ভিসা তো পাওয়া গেলো. কিন্তু তার ভ্যালিডিটি হোলো অক্টোবর থেকে. এখন তো মাত্র জুলাই. যাইহোক হৈহৈ করে অক্টোবর মাস এসে গেলো. পুজোর ঠিক পরেই আমাকে যেতে হবে.

আজ অক্টোবরের চার. ভোর হয়ে গেছে. ট্যাক্সি দ্রুত ছুটে চলেছে বিমানবন্দরের দিকে. সকাল পৌনে আটটায় উড়ান. তিন ঘন্টা আগে চেক্-ইন করতে হবে. পুজোয় গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম. গতকাল রাত্রে কলকাতায় ফিরেছি. মা বাবা পুজোর আগে থেকেই দক্ষিণ ভারত বেড়াতে গেছেন. ফিরতে সেই লক্ষীপুজো. যাইহোক কলকাতায় ফিরেই আমার দুটো ব্যাগ-এ যা যা ধরে এবং যা না নিয়ে গেলে নয় সেগুলো পুরে নিয়েছি. এটাও জানি,অনেক কিছুই ভুলে গেলাম নিতে,যেগুলো আমেরিকা পৌছানর পর মনে পড়বে. পড়বেই.কিন্তু প্যাকিং করার সময় কিছুতেই মনে পড়বে না এটাই রীতি. প্যাকিং শেষ হতেই আমি বাঘাযতীন থেকে কালিঘাটে মেজদি'র বাড়িতে চলে এলাম. দিদি, জামাইবাবু আর কাঞ্চন আমার সাথে ট্যাক্সি'র মধ্যে. কাঞ্চন বাড়ী থেকেই আমার সাথে এসেছে আমাকে আকাশে উড়িয়েই আবার বাড়ী ফিরে যাবে. সবাইকে ছেড়ে যেতে এখন আমার খুব খারাপ লাগছে আমেরিকা যাওযার ইচ্ছেটা কেমন যেন ঝিমিয়ে পড়েছে. আবার কবে সবাইকে দেখতে পাব কবে ফিরব কিছুই ঠিক নেই. কাজের প্রয়োজনে তিন মাস, ছ'মাস, বা এক বছর পর্যন্ত থাকতে হতে পারে.

সমস্ত রীতি নীতি ঘেরা-টোপের বেড়াজাল পেরিয়ে শেষে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ-এর বিমানে চেপে বসলাম. আমার মোবাইলটা ভাইকে দিয়ে যাচ্ছি.